বাকিরুল ইসলাম, জামালপুর প্রতিনিধি:জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় গত ৫ ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে ওরশের নামে প্রকাশ্য চলছে মাদক সেবন ও বেচাকেনা হাট-বাজার। উপজেলার দুরমুট ইউনিয়নের সুরুলিয়া এলাকায় মা বারই রানী (রহঃ) মাজারে ৪৩ তম ওরস মোবারকে এ চিত্র দেখা যায়। (১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সুরুলিয়া এলাকায় হযরত শাহ কামাল ইয়ামেনী (রহঃ) এর স্ত্রী মা বারই রানী (রহ) ইয়েমেনীর মাজার অবস্থিত। এই মাজারকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর অগ্রহায়ন মাসের শেষের দিকে মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।স্থানীয় লোকজন বলেন, মা বারই রানী (রহঃ) মাজারে ৪৩ তম ওরস মোবারক কেন্দ্র করে এ মেলা দীর্ঘদিন থেকেই চলে আসছে। প্রতিদিন দেশের নানা প্রান্ত থেকে এখানে ভক্তরা আসেন। মেলার পাগলদের জন্য তৈরি করা প্রতিটি তাবু (পলিথিন কাগজে মোড়ানো ঘর) চলে গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকের আড্ডা। প্রত্যেকটি ঘরেই ১০/১২ জন করে ব্যক্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে ৪/৫ জন সাধু গোছের লোক বাঁকিরা বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত তরুণ যুবক। প্রতিটি ঘরেই চলছে গাজা বিক্রি এবং সেবন। সিগারেটে ভরানো প্রতিপিস বিক্রি করা হচ্ছে ৫০ টাকায়। আর কোলকিতে ভরানো গাজা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাক।এখানে প্রতিটি তাবুর মাঝে মাদক সেবনসহ প্রকাশ্যে বিক্রি চলে। এটি কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। রাতে গাঁজার গন্ধে আশেপাশের মানুষের চলাফেরা কষ্টকর হয়ে পরে। প্রকাশ্যে এসব গাজা বিক্রি এবং সেবন চললেও প্রশাসনকে নিরব ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে।পলিথিন কাগজে মোড়ানো ঘরে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জটাধারীদের আগমন ঘটে এখানে। জটাধারী নারী পুরুষ গানের ফাঁকে ফাঁকে মনের সুখে গাঁজার কলকিতে টান দেয় আর বলে, জয় বাবা গুরু গাঁজা খাওয়া শুরু এবং ইল বাবা ইল ধিরে ধিরে গিল সহ বিভিন্ন ধরনের সিকলি বলে।মা বারই রানী (রহঃ) মাজারে কমিটির আহ্বায়ক লিখনুজ্জামান লিখন মুঠোফোনে বলেন ,মাজারে এভাবেই চলে।পূর্বেও এভাবেই চলছে।এবারও তাই চলবে।পাগলের ওরসে সরাসরি গাঁজা চলে।এখানে ডিএসবির লোক আছে,প্রশাসনের লোক আছে,সব লোক আছে।ওনাদের সম্মতি নিয়েই চলতাছে।ইউএনও,ডিসি,এসপি, ওসির রেফারেন্সে চলে অনুমতিক্রমে।ঐ ইউনিয়নে বিট অফিসার এস আই তারিকুল ইসলাম হিমন বলেন,ওখানে দু-তিন জন গিয়ে অভিযান চালানো সম্ভব না।ওখানে সবাই পাগল।অভিযানে কম লোক গেলে আক্রমনের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একা সেখানে গেলে বেঁধে মারতেও পারে। অভিযানে ২০- ২৫ জনের টিম অংশ নিতে হবে।মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুজ্জামান বলেন, ওরসে মাদক চলে জানতাম না। আপনাদের মাধ্যমে জানলাম।দ্রুত সময়ের মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তা নিয়ে অভিযান চালানো হবে।