ডেক্স রির্পোট: চলমান– শামসুল আলম বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের অন্যতম সদস্য। তাঁর চাকরী জীবনে বরাবরই আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় ভালো পদ পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এর মদদে যেখানে বেশি উপার্জন করা যাবে সেখানে পোস্টিং নিয়ে প্রচুর অবৈধ উপার্জন করেছেন। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রামে পোস্টিং এ দীর্ঘসময় থেকে প্রচুর ঘুষ খেয়েছেন। ঠিকাদার বান্ধব হিসেবে তাঁর বিশেষ খ্যাতি আছে ঠিকাদার মহলে। তারই ধারাবাহিকতায় মেরিট লিস্টের ১০ নাম্বারে থেকে স্বৈরাচার সরকারের হানিফ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সাথে ঘুষ লেনদেন করে বিউবোর সদস্য হন। আওয়ামী মদদপুষ্ট এই অফিসার সদস্য পদ থেকে পরবর্তীতে মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক, অপারেশন হয়েছেন।বর্তমানে জনার শামসুল আলম ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওজোপাডিকোর অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। অভিযোগ আছে তিনি ঠিকাদারদের থেকে ঘুষ খেয়ে আন্তরিকভাবে তাদের কাজ বাগিয়ে দেন তিনি। ছোট-বড় সব ধরনের ঠিকাদারদের এক দৃষ্টিতে দেখে সবার কাছ থেকেই টাকা খান, সুবিধা নেন এবং প্রতিনিয়ত ঠিকাদারদের সময় দেন। সুত্রের মাধ্যমে জানা গেছে নিয়মিত ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র তার জন্য ব্যবস্থাপনা পদে নিয়োগের প্রতিযোগীদের বয়সসীমা শিথিল করা হয়েছে। তাতে ২৬ জন আবেদন করলেও দৌড়ে এগিয়ে আছেন শামসুল আলম। তাঁর জন্যই ওজোপাডিকোর সার্ভিস রুল অমান্য করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।বর্তমানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে থাকায় তদবীরের বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন শামসুল আলম। ঠিকাদার বান্ধব শামসুল আলম যেমন প্রচুর টাকা কামিয়েছেন তেমন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হতে প্রচুর টাকা দুই হাতে খরচ করছেন। নিজে প্রতিযোগী হয়েও তার তত্ত্বাবধানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের ইন্টারভিউ হতে যাচ্ছে আগামী ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার। স্বার্থের সংঘাতের এধরনের বৈষম্যমূলক দৃষ্টান্ত নজিরবিহীন।এ ব্যাপারে ওজোপাডিকোর চেয়ারম্যান এবং অতিরিক্ত সচিব, সমন্বয় এবং সুশাসন, ফয়েজ আহমেদ বলেন, “ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে ২৬ জন আবেদন করছেন। এর মধ্যে ১৩ জন আবেদনের চাহিদা অনুযায়ী পূরণ করেছেন। শামসুল আলমের নামে যদি অভিযোগ গুলো সঠিক থাকে তাহলে বিষয়টা আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখবো।”আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও ঘুষখোর আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়োগ করে যাচ্ছেন স্বৈরাচার সরকারের প্রেতাত্মারা। বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সদস্য হয়েও তাকে সংস্থাপ্রধাণ পদে নিয়োগ করার জন্য এই তৎপরতা বর্তমান বিপ্লবী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।