ইসলামপুর জামালপুর প্রতিনিধিঃ প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নিয়ে, সমাজের কাছে বোঝা না হয়ে, কারো কাছে হাত না পেতে বাবার মৃত্যুর পর নিজের সংসার চালানোর দায়িত্ব পরে কেরামত আলীর কাঁধে। কেরামত আলীর বয়স( ৩৫) জন্মের পর থেকেই শারিরীক প্রতিবন্ধী তিনি। তবু অধম্ম ইচ্ছা আর কর্মগুনে নিজেই চালাচ্ছেন সংসার,করেছেন একটি ঘড় এই পর্যন্ত ভালোই চলছে সংসার জীবন। বাবার ইচ্ছে মতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বাক প্রতিবন্ধী রত্না কে জীবন সাথী করেন।দাম্পত্য জীবনে রত্না ও কেরামত আলীর ঘরে আসে একটি ছেলে রিফাত ( ১৫) ও এক মেয়ে সুমাইয়া ( ১০) পিতার মতো না হলেও বয়সের তারুণ্যের তারা বেড়ে উঠে না। দায়িত্ব কে দায়িত্ব মনে করে সময়কে নষ্ট না করে, বাজারে একটা মুদির দোকান করে বসে । দোকানে টাকার অভাবে পণ্য তেমন না তুলতে পারলেও থেমে নেই তার সংসারের চাকা।মৌসুমের সময় মৌসুমের কাজ করতে এই ভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও ইঞ্জিন চালিত মেশিন চালানো কাজে তার কোন ব্যাপ্তই ঘটেনি। দাম্পত্যকে সুখী রাখতে নিজের জীবনের সাথে যুদ্ধ করে চলছে তা সংসার।কেরামত আলীর জন্ম জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের জারুল তলা গ্রামের মরহুম সদাগর আলীর চর্তুথ ছেলে। রত্নার কাঁধে এখন তিন প্রতিবন্ধী অর্থের অভাবে কষ্টের জীবন চলছে তাদের।প্রতিবেশী দুলা মিয়া বলেন,পাথর্শী ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ডের মেম্বার সোহেল খাঁন বলেন, কেরামত শুধু একা প্রতিবন্ধীর ভাতা পায়, এভাবে জীবন যাপনে অনেক কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করে। তাদের পরিবারের স্থায়ীভাবে কর্মসংস্থানের জন্য বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান তিনি।কেরামত ও তার সন্তানের এমন অবস্থাতে ও ছেড়ে যায়নি রত্না বেগম। অভাব আর প্রতিবন্ধকতার মাঝে ও সংগ্রাম করে যাচ্ছেন কেরামত রত্নার দম্পতি। তাই সমাজের বিত্তবানদের পাশে দাঁড়ানো আহবান জানান স্থানীয়রা।