নিজস্ব সংবাদদাতা, ইসলামপুর জামালপুরঃজামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা নোয়ারপাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত রাজনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কাগজে-কলমে ১৫৪ জন। ১৯৯০ সালে রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত ।বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ৩ জন শিক্ষক, তাই বিদ্যালয়ের ক্লাস নেওয়ার জন্য এখন শিক্ষক আছেন মাত্র দু’জন এদের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরনবী ওরফে (সেতু), দিনের পর দিন ক্লাসে অনুপস্থিত থাকেন।তাই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবী (সেতু) তার কর্মস্থলে ক্লাস চালাতো ভাড়াটিয়া শিক্ষক দিয়ে! অভিযুক্ত ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও একই সাথে তিনি বিভিন্ন সময় নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।যার ফলে শিক্ষক সংকটে বিদ্যালয়টির শিক্ষা ব্যবস্থা এখন একেবারেই ভেঙে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়,বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তার নিজের কাজের পিছনে সময় থাকায় তার পরিবর্তে ৪/৫ মাস আগেও একজন ‘ভাড়াটিয়া শিক্ষক’ দিয়ে বিদ্যালয়ে ক্লাস করান।নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বলেন, ৪-৫ মাস আগে তার দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রধান শিক্ষকের স্থলে সে একজন প্রক্সি মাস্টার নিয়োগ দেন, আমি ২-৩ মাস থেকে তাকে স্কুলে আসতে দেখি না । ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব অবহেলার সুযোগে অবশিষ্ট একজন সহকারি শিক্ষক রায়হান ও নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক নাজমুল বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন বলে জানা যায় ।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চলতি সপ্তাহের গত রবিবার, সোমবার,মঙ্গলবার, বুধবার, ও বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকার বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহানারা বেগম কে অবগত করানো হয় এবং স্কুলে কোন ছাত্রছাত্রী না থাকার বিষয়টিও তাকে জানানো হয়। জানা গেছে, ওই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে নিয়মিত না গিয়ে সুবিধামত একদিন হাজির হয়ে খাতায় কয়েক দিনের স্বাক্ষর একবারে করেন।কিন্তু অজ্ঞাত কারণে বিষয়টি নিয়ে নিরব রয়েছেন প্রশাসন। এ বিষয়ে বিদ্যালয় সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জমিদাতা রেহান আলী জানান, ওই শিক্ষককে বিদ্যালয়ে নিয়মিত করতে তিনি ব্যর্থ হয়ে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের নিকট মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। এরপরও কোন প্রতিকার মেলেনি।রাজনগর সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্তপ্রধান শিক্ষক নূরনবী সেতুর সাথে তার মুঠোফোনে (০১৭১৩-৫৩০৮৫৯)একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে সে তার ফোন রিসিভ করেনি সে ক্ষেত্রে তার মন্তব্য নেওয়া যায় নি।নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রোমান জানান, ‘ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত হয় না। নিজেকে তিনি তার কাজের ব্যস্ত সময় রাখেন বলে আমি শুনেছি ।উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহানারা বেগম জানান,শিক্ষকের এমন কর্মকান্ড যদি প্রমাণিত হয় বিধি মোতাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান বলেন, প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকের বিষয়টি আপনাদের মাধ্যম অবগত হলাম, যদি ওই রকম হয়ে থাকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।